আলু সম্বন্ধে দু-চার কথা
জয়তী সেদিন Costco-র আলু রান্না ক’রে হঠাৎ ব’লে উঠল – “একদম গুড়াপের চন্দ্রমুখী!”
রামেশ্বরপুর, তারকেশ্বর, পাণ্ডুয়া ইত্যাদি অঞ্চল বাংলার মুখ্য আলু উৎপন্নকারী এলাকা। আলু চাষ আর ছাদে, টবে গোলাপের চারা রোপন – এই দুটো সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার।আলুর বীজ বোনা থেকে আলু তোলার পদ্ধতিতে একটা নিজস্ব সৃষ্টির উন্মাদনা থাকে।
ভাল আলুর ফলনের সঙ্গে ছেলেমেয়ের পুজোর পোশাক একটু দামী হওয়াটা জড়িয়ে থাকে। আজও গ্রাম-বাংলায় কান পাতলে শোনা যায় – “এবার আলুর দামটা পেলে ঘরটা পাকা করব।” কলকাতার ভাড়াটে ছেলেমেয়ের কাছে বস্তা ক’রে বেছে বেছে বড় ভাল চন্দ্রমুখী আলু পাঠানো, গ্রামের খুব চেনা।
Lockdown-এ আলুর অতিরিক্ত ব্যবহার দেশের supply chain সমস্যার ফল। অন্যদিকে, আলু না খাওয়াটা আবার “freedom of choice”-এর ওপর অমর্ত্যর গবেষণার case study হ’তে পারতো। গ্রাম-বাংলার বছরভর ফ্যানাভাত, আলুসেদ্ধ, আর একটু নুন নির্ভর অস্তিত্ব কিন্তু শুধুই ভবিতব্য।
জয়তীর ডাকে হুঁশ ফিরলো।যাই! খোসা ছাড়িয়ে ডুমো ডুমো ক’রে কেটে দিই, নিউ জার্সির চন্দ্রমুখী!