[boldgrid_component type=”wp_block”]
তখন শীত, দেওঘর যাচ্ছি মা-বাবার সঙ্গে। আমাদেরই এক আত্মীয়, সঞ্জীবদার আমন্ত্রণে, তাঁরই আশ্রয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে, চাকরিতে ঢুকেছি বছর দু’তিন হলো। দেওঘর ঘুরতে যাচ্ছি শুনে, অফিসে, আমার পাশের টেবিলের সত্যমদা, খবরের কাগজে মোড়া একটা বই দিয়ে বললেন, ঘুরতে ঘুরতে এই বইটা পড়ে ফেলুন। ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখলাম প্যাকেটটা।
প্রত্যেক দিনের মতো, আর একবার বললেন সত্যমদা, “দেখুন, কবে escape velocity-র দেখা মেলে!”
বর্ধমান স্টেশনে কাগজের মোড়ক খুলে দেখি, ‘The Prophet’, Khalil Gibran-এর লেখা। জানা ছিল না, এই বই, এই লেখকের কথা।
মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়লাম বইটা। সব যে বুঝতে পারলাম, তা একেবারেই নয়। কিন্তু আজীবনের সঙ্গী হয়ে গেল সেই বই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, কালো অক্ষরের আড়ালে থাকা অন্তর্নিহিত চেতনার মুখোমুখি হই। বারবার। নতুন নতুন ভাবে।
সেই চাকরি ছেড়ে, নতুন চাকরিতে যাওয়ার সময়, হাত মিলিয়ে বললেন সত্যমদা,”Finally, escape velocity!”
আজ বুঝি, ওটা সত্যিই কথার কথা! প্রতিনিয়ত উৎসাহে, একটু এগিয়ে দিয়ে, অন্য এক গ্রন্থির জন্ম দিলেন সত্যমদা। Escape তো নয়ই, বন্ধন!
ফিরে ফিরে আসি!
Man’s needs change, but not his love, nor his desire that his love should satisfy his needs.
Know therefore, that from the greater silence I shall return.
The mist that drifts away at dawn, leaving but dew in the fields, shall rise and gather into a cloud and then fall down in rain.
And not unlike the mist have I been.– The Farewell in The Prophet, by Khalil Gibran
[boldgrid_component type=”wp_block”]